রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ English
English
সর্বশেষ

ডাকসু নির্বাচনে জয় নির্ধারণে ছাত্রী ভোট বড় ফ্যাক্টর

ডাকসু নির্বাচনে জয় নির্ধারণে ছাত্রী ভোট বড় ফ্যাক্টর
ডাকসু নির্বাচনে জয় নির্ধারণে ছাত্রী ভোট বড় ফ্যাক্টর
সর্বশেষ উপলব্ধ: সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২৫ ০৩:৫০ অপরাহ্ন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ডাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর)। প্রচারণা শেষ হওয়ার পর এখন বিশ্লেষণ ঘুরপাক খাচ্ছে এক প্রশ্নেকার হাতে যাবে জয়। এ সমীকরণে বড় নিয়ামক হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৯ হাজার ছাত্রী ভোট। মোট ভোটারের ৪৭ দশমিক ৫৫ শতাংশই নারী শিক্ষার্থী। ফলে শেষ মুহূর্তে ভিপি ও জিএসসহ গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে জয়-পরাজয় নির্ধারণে ছাত্রীদের ভোটই হবে মূল ফ্যাক্টর।

রোকেয়া হলে সর্বাধিক ৫ হাজার ৬৬৫ ছাত্রী ভোট রয়েছে। শামসুন নাহার হলে ভোটার সংখ্যা চার হাজারের বেশি। এছাড়া বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল, সুফিয়া কামাল হল এবং বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলেও কয়েক হাজার ভোট রয়েছে। এই ভোটের দিকেই এখন তাকিয়ে সব প্রার্থী ও প্যানেল। ছাত্রীদের হলগুলোতে পুরুষ প্রার্থীদের প্রবেশ সীমিত হলেও বিশেষ অনুমতিতে প্রচারণা চালানোর সুযোগ মিলেছে। তবে নারী প্রার্থীরা সরাসরি কক্ষ থেকে কক্ষে গিয়ে ভোট চেয়েছেন। এর বাইরে ছাত্রদল, ছাত্রশিবির ও বামপন্থী প্যানেলের নেত্রীদের উপস্থিতিও ছিল সক্রিয়। ইসলামী ছাত্রীসংস্থা ও বিভিন্ন সংগঠনের ছাত্রী নেত্রীরাও হলে হলে প্রচারণা চালাচ্ছেন।

প্রচারণায় নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা, পরিবহন সুবিধা, যৌন হয়রানি প্রতিরোধ, সাইবার বুলিং মোকাবিলা, পোশাকের স্বাধীনতা, ব্রেস্টফিডিং রুম, মাতৃত্বকালীন ছুটি কার্যকর, স্বাস্থ্যসেবা ইউনিট এবং খেলাধুলার সুযোগ বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি এসেছে সব প্যানেল থেকেই। তবে ছাত্রীদের দাবি বাস্তবায়ন নিয়েই রয়েছে সংশয়। ভোটাররা বলছেন প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়ন কতটা হবে সেটাই মূল প্রশ্ন। তারা নিরাপদ ক্যাম্পাস, স্বাধীন মতপ্রকাশ এবং হয়রানি-মুক্ত পরিবেশ চায়। যেসব প্রার্থী এ প্রতিশ্রুতি পূরণে সক্ষম হবেন বলে বিশ্বাস করা যায় তাদের দিকেই যাবে ছাত্রীদের ভোট।

সবশেষ হিসেবে দেখা যাচ্ছে এবারের ডাকসু নির্বাচনে নারী শিক্ষার্থীদের ভোটই জয়-পরাজয়ের ব্যবধান তৈরি করবে। প্রায় ১৯ হাজার ছাত্রী ভোট নির্ধারণ করে দেবে কারা এগিয়ে থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয় রাজনীতির আগামী নেতৃত্বে।

হাবিব/মি

 16
মতামত দিন

শর্ত সমূহ:
অশালিন শব্দ/বাক্য ব্যবহার করা যাবে না। কাউকে কটাক্ষ করা যাবে না। কারো প্রতি আক্রমনাত্বক বক্তব্য পেশ করা যাবে না।