শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বুলিং ও র্যাগিং প্রতিরোধে প্রণীত নীতিমালা ২০২৩ কে আইন হিসেবে ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট। আদালত বলেছে নীতিমালা কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত এটি প্রজ্ঞাপন আকারে আইন হিসেবে গণ্য হবে এবং সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে অক্ষরে অক্ষরে তা বাস্তবায়ন করতে হবে।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি কাজী ওয়ালিউল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ ১২১ পৃষ্ঠার রায়ে এ ঘোষণা দেন। রায়ে বলা হয় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিরাপদ ভবিষ্যতের জন্য প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে তিন থেকে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট বুলিং প্রতিরোধ কমিটি গঠন করতে হবে। পাশাপাশি অভিযোগ বক্স স্থাপন সিসিটিভি ক্যামেরায় নজরদারি সচেতনতামূলক কর্মসূচি আয়োজন ও প্রতিটি শিক্ষাবর্ষে বুলিং প্রতিরোধ দিবস পালনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
আদালত শিক্ষার্থী শিক্ষক অভিভাবক সবার জন্য অঙ্গীকারনামা বাধ্যতামূলক করার পাশাপাশি কাউন্সেলিং কার্যক্রম জোরদারেরও নির্দেশ দিয়েছে। রায়ে মোট ১৭ দফা নির্দেশনা দেয়া হয় এবং তিন মাস অন্তর এর বাস্তবায়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট বলেছে সুন্দর চরিত্র মানুষের সবচেয়ে বড় সম্পদ। পরিবার সমাজ এবং শিক্ষা ব্যবস্থার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা ও মানবিক গুণাবলি বিকশিত করতে হবে।
শামীম/মি
শর্ত সমূহ:
অশালিন শব্দ/বাক্য ব্যবহার করা যাবে না। কাউকে কটাক্ষ করা যাবে না। কারো প্রতি আক্রমনাত্বক বক্তব্য পেশ করা যাবে না।