ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি এবং আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির দুই শিক্ষার্থীকে হত্যার বিচারে হত্যাকারীদের ধরতে ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
ঢাকার রামপুরা ব্রিজে বিক্ষোভ সমাবেশ করে রাজপথে কঠোর কর্মসূচি দেয়ার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেল চারটার পর শিক্ষার্থীরা সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে রামপুরা ব্রিজে অবস্থান নেন। এতে ব্রিজের পূর্ব পাশের দুই লেন বন্ধ হয়ে যায়। ওই এলাকায় দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের আইনের আওতায় আনা না হলে রাজপথে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সম্পৃক্তরা গুপ্তহত্যার শিকার হচ্ছেন। তাঁদের খুঁজে বের করতে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানায় বিক্ষোভকারিরা।
১২ ডিসেম্বর ভোরে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাজবির হোসেন শিহানকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। একই দিন নারায়ণগঞ্জে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আহত হন আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সীমান্ত। এর দুই দিন পর ১৪ ডিসেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
সমাবেশে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী নাজিফা জান্নাত বলেন, সারা দেশে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নেই। বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের তুলে নেয়ার হুমকি আসছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এখনো শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি।
গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসাদ বিন রনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা হচ্ছে ছাত্র-জনতা। এখন ছাত্রদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করতে পারলে এই সরকারের কোনো গ্রহণযোগ্যতা থাকবে না।
জুলাই আন্দোলনে অংশ নেওয়াদের গুপ্ত হত্যা করা হচ্ছে, বিভিন্ন মাধ্যমে অনেককে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী যাবের বিন নূর। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের এভাবে নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রেখে সরকার এখনো নির্বিকার।
শর্ত সমূহ:
অশালিন শব্দ/বাক্য ব্যবহার করা যাবে না। কাউকে কটাক্ষ করা যাবে না। কারো প্রতি আক্রমনাত্বক বক্তব্য পেশ করা যাবে না।