ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে নয়াদিল্লি। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্তে এই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। শনিবার (৪জানুয়ারি)ব্রিটিশ ইংরেজি দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একজন উপদেষ্টার ভারতের উত্তর-পূর্বাংশকে বাংলাদেশের সঙ্গে সংযুক্ত করার হুমকি দেয়ার পর সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করেছে ভারত। যদিও গেল ডিসেম্বরে এই মন্তব্যের বিষয়ে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছিল ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়।
দ্য টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র এবং সুন্দরবন-সহ বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত অতিক্রমকারী নদীগুলোতে নতুন ভাসমান সীমান্ত চৌকি তৈরি করেছে।
দুই প্রতিবেশীর মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক কীভাবে পুনরুদ্ধার করা যেতে পারে, জানতে চাইলে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল দ্য টেলিগ্রাফকে বলেন, ভারতের পুতুল শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠার স্বপ্ন ভুলে যাওয়া, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও জনগণের রায়কে সম্মান জানানো, জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক পুনর্গঠন এবং সমান মর্যাদা ও অধিকারের ভিত্তিতে বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে।
দ্য টেলিগ্রাফের সঙ্গে আলাপকালে অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেয়ায় দেশের মানুষ ক্ষুব্ধ। ভারত সরকার এখন মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত হাসিনাকে রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। এ কারণেই বাংলাদেশিরা ভারত সরকারের অবস্থানে ক্ষুব্ধ বলেও জানান তিনি।
আ/মি
শর্ত সমূহ:
অশালিন শব্দ/বাক্য ব্যবহার করা যাবে না। কাউকে কটাক্ষ করা যাবে না। কারো প্রতি আক্রমনাত্বক বক্তব্য পেশ করা যাবে না।