মহারাষ্ট্রে বসবাসকারী অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। দিল্লি থেকে মহারাষ্ট্র সরকারের স্বরাষ্ট্র দপ্তরকে পাঠানো একটি চিঠিতে এই নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের এই কঠোর নির্দেশের ফলে মহারাষ্ট্রে বসবাসরত অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার প্রক্রিয়া আরও ত্বরান্বিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে সোমবার (২০ জানুয়ারি) অবৈধভাবে বসবাসকারী ৩৩ হাজার ৬৪৮ জন বিদেশি নাগরিককে আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে তাদের যথাযথ কাগজপত্র জমা দেয়ার নির্দেশ দেয় বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এই সময়ের মধ্যে কাগজপত্র জমা না দিলে, অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে আইন অনুসারে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত নেয়ার একদিন পরেই নিজেদের সিদ্ধান্তের কথা জানালো ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। জানা গেছে, সাবেক শিবসেনা সংসদ সদস্য রাহুল শেওয়ালে অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের বিষয়ে একটি অভিযোগ জানানোর পর এই পদক্ষেপ নেয়া হয়। তিনি টাটা ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল সায়েন্সেসের (টিআইএসএস) প্রস্তুতকৃত একটি প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অভিযোগ দায়ের করেন।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) শিবসেনার আরেক সংসদ সদস্য মিলিন্দ দেওরা সরকারের কাছে রাজ্যে বসবাসরত সকল অবৈধ বাংলাদেশিকে দ্রুত দেশছাড়া করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, মুম্বাইকে নিরাপদ করতে আমি মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীকে একটি চিঠি লিখে অনুরোধ করেছি। সেখানে আমি বলেছি, অবৈধ বাংলাদেশিদের যত দ্রুত সম্ভব দেশে ফেরত পাঠানো উচিত।
তিনি আরও বলেন, মুম্বাইকে আরও নিরাপদ করতে রাজ্যজুড়ে অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের তালিকা তৈরি করা প্রয়োজন। পাশাপাশি, নথি যাচাই ছাড়া চাকরি দেয়া এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধেও কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
আ/মি
শর্ত সমূহ:
অশালিন শব্দ/বাক্য ব্যবহার করা যাবে না। কাউকে কটাক্ষ করা যাবে না। কারো প্রতি আক্রমনাত্বক বক্তব্য পেশ করা যাবে না।