দেশের ৯টি সরকারি হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালের ৮০টি কেন্দ্রে মেনিনজাইটিস টিকা পাওয়া যাবে, যেখানে প্রতিষেধ নেয়ার পর মিলবে টিকা সনদ।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সরকারী কর্মচারী হাসপাতাল, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, সচিবালয় ক্লিনিক এবং কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে মেনিনজাইটিসের টিকা পাওয়া যাবে।
ঢাকার বাইরে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল, বগুড়ায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল, দিনাজপুরে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে এই টিকা পাওয়া যাবে।
এছাড়া দেশের সব সিভিল সার্জন কার্যালয় এবং জেলা হাসপাতালে মেনিনজাইটিস টিকা পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার রোববারের অফিস আদেশে বলা হয়েছে, আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি সেসব যাত্রী ওমরাহ ভিসায় সৌদি আরব যাবেন অথবা ভিজিট ভিসায় সৌদি আরবে গিয়ে ওমরাহ অথবা যিয়ারাহ করবেন; তাদের বাধ্যতামূলকভাবে মেনিনজাইটিস টিকা নিতে হবে। যাত্রার তারিখ থেকে কমপক্ষে ১০ দিন আগে মেনিনজাইটিস টিকা নিতে হবে। তবে ১ বছরের কম বয়সী শিশুদের ওই টিকা নেয়ার প্রয়োজন নেই।
সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা বলছে, ওমরাহ ও ভিজিট ভিসায় গমনকারী যাত্রীরা নিজের টাকায় টিকা সংগ্রহ করবেন। এরপর নির্ধারিত সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে টিকা নেবেন। প্রতিষ্ঠানগুলো যাত্রীদের টিকা সনদ দেবেন। এছাড়া সনদগুলো ডিজিটাল পদ্ধতিতে এমআইএসএর ভ্যাক্স ইপিআই সিস্টেমে আপলোড করবেন।
ওমরাহ ও ভ্রমণ ভিসায় সৌদি আরবগামী যাত্রীদের জন্য মেনিনজাইটিস টিকা বাধ্যতামূলক করেছে সৌদি সরকার।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, মেনিনজাইটিস মস্তিষ্ক এবং মেরুদণ্ডের চারপাশের টিস্যুর প্রদাহজনিত সমস্যা। মেনিনজাইটিস যেকোনো বয়সী মানুষেরই হতে পারে। সাধারণত সংক্রমণের কারণে মেনিনজাইটিস হয়ে থাকে। রোগটি মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে এবং তৎক্ষণাৎ চিকিৎসার প্রয়োজন ওতে পারে।
এই রোগের লক্ষণ জ্বর, মাথাব্যথা, ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া, আলো ও শব্দ অসহনশীলতা, খিঁচুনি ও মুখ দিয়ে শ্লেষ্মা বের হওয়া, অসংলগ্নতা, বমি বা বমিভাব। শিশুদের ক্ষেত্রে লক্ষণগুলো হলো, জ্বর, খিটখিটে মেজাজ, খেতে অনীহা, অতিরিক্ত ক্লান্তি এবং ত্বকে লাল দানা।
আ/মি
শর্ত সমূহ:
অশালিন শব্দ/বাক্য ব্যবহার করা যাবে না। কাউকে কটাক্ষ করা যাবে না। কারো প্রতি আক্রমনাত্বক বক্তব্য পেশ করা যাবে না।