কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে প্রায় দুই ঘণ্টার বৈঠকেও আন্দোলনরত রানিং স্টাফদের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। কর্মবিরতি অব্যাহত রাখার বিষয়ে অনড় থাকার কথা জানান রেল শ্রমিকরা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এবার জরুরি বৈঠকে বসেছেন রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রেল ভবনের সভাকক্ষ পদ্মায় এ বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠকে রেল মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, রেল সচিব ফাহিমুল ইসলাম এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী ও জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন।
মূল বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্স যোগ করে পেনশন এবং আনুতোষিক সুবিধার দাবিতে সারাদেশে কর্মবিরতি শুরু করে বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী সমিতি। এতে সোমবার মধ্যরাত থেকে সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।
বিষয়টির সমাধানে আন্দোলনরত রানিং স্টাফদের নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের ভিআইপি রুমে বৈঠকে বসেন রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব ফাহিমুল ইসলাম। সেখানে শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসও উপস্থিত ছিলেন। ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের ভিআইপি রুমে দুই ঘণ্টাব্যাপী ওই বৈঠকেও কোনো সমাধানে পৌঁছানো যায়নি।
বিকেল পৌনে ৩টার দিকে বৈঠক থেকে বেরিয়ে রানিং স্টাফ প্রতিনিধিরা জানান, সমঝোতা বা সিদ্ধান্ত হয়নি, রেলের কর্মবিরতি চলবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের কার্যকরী সভাপতি সাইদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আমরা দীর্ঘক্ষণ রেল সচিব ও মহাপরিচালকের সঙ্গে বৈঠক করেছি। তবে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে না পেরে বেরিয়ে এসেছি। আমাদের কেন্দ্রীয় নেতারা আছেন, তাদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবো। তবে আমরা কর্মবিরতিতে অনড় আছি।
এর আগে দুপুরে সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, এরই মধ্যে রেলকর্মীদের কিছু দাবি মেনে নেয়া হয়েছে। অন্য দাবিগুলো সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় দেখবে। যেকোনো যৌক্তিক দাবি এলে অর্থ মন্ত্রণালয় মানা করবে না। মানবিক কারণে বা মানুষের চাকরি ব্যাপারে সমস্যা হলে, সে বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আ/মি
শর্ত সমূহ:
অশালিন শব্দ/বাক্য ব্যবহার করা যাবে না। কাউকে কটাক্ষ করা যাবে না। কারো প্রতি আক্রমনাত্বক বক্তব্য পেশ করা যাবে না।