রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫ English

পরীক্ষামূলক সম্প্রচার

English
সর্বশেষ

১১১৩ কোটি টাকার কর ফাঁকি সামিট পাওয়ারের

১১১৩ কোটি টাকার কর ফাঁকি সামিট পাওয়ারের
১১১৩ কোটি টাকার কর ফাঁকি সামিট পাওয়ারের
সর্বশেষ উপলব্ধ: ডিসেম্বর ২২, ২০২৪ ০৩:৪১ অপরাহ্ন

এবার দুই প্রতিষ্ঠানসামিট পাওয়ারসামিট কর্পোরেশন’-এর প্রায় এক হাজার ১১৩ কোটি টাকার কর ফাঁকির তথ্য উদ্ঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল- সিআইসি।

সিআইসি থেকে এনবিআর চেয়ারম্যানকে দেয়া এক গোয়েন্দা প্রতিবেদন সূত্রে তথ্য জানা গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে এনবিআরের আয়কর বিভাগের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা । সামিট পাওয়ার লিমিটেড সুকৌশলে সামিট কর্পোরেশন লিমিটেডকে লভ্যাংশ দেয়ার ক্ষেত্রে উৎসে কর কর্তন করেনি। এনবিআর থেকে বিষয়টি স্পষ্টীকরণ করা হলেও তারা আমলে নেয়নি। অর্থাৎ কর ফাঁকি দেয়ার জন্য সামিট পাওয়ার এমন কৌশলের আশ্রয় নিয়েছে। একই সঙ্গে সামিট কর্পোরেশন লিমিটেড সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডকে লভ্যাংশ দেয়ার ক্ষেত্রে আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে উৎসে কর কর্তন করেনি।

গোয়েন্দা প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, পুঁজিবাজারে জ্বালানি খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানি সামিট পাওয়ার লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির মোট শেয়ারের ৬৩.১৯ শতাংশের মালিক সামিট কর্পোরেশন লিমিটেড। আয়কর আইন অনুযায়ী, শেয়ার হোল্ডিং মালিকদের লভ্যাংশের ওপর উৎসে কর কর্তন করতে হয়। কিন্তু সামিট পাওয়ার সামিট কর্পোরেশনকে লভ্যাংশ দেয়ার ক্ষেত্রে কোনো উৎসে কর কর্তন করেনি।

২০১৮-১৯ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছর পর্যন্ত ছয় বছরে উৎসে কর ফাঁকি দিয়েছে প্রায় ৪৬৫ কোটি টাকা। একই সঙ্গে সামিট কর্পোরেশনের মোট শেয়ারের মধ্যে ৯৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ শেয়ারের মালিক সিঙ্গাপুরের সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড।

আয়কর আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশি কোনো কোম্পানিকে লভ্যাংশ উদ্ভূত হলে তার ওপর উৎসে কর কর্তন করতে হয়। কিন্তু সামিট কর্পোরেশন সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনালকে লভ্যাংশ পরিশোধের সময় উৎসে কর কর্তন করেনি। পাঁচ কর-বছরে এতে উৎসে কর ফাঁকি দেয়া হয়েছে প্রায় ৬৪৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ সামিট পাওয়ার সামিট কর্পোরেশন মোট উৎসে কর ফাঁকি দিয়েছে প্রায় এক হাজার ১১২ কোটি ৮০ লাখ টাকা।

আ/মি

 6
মতামত দিন

শর্ত সমূহ:
অশালিন শব্দ/বাক্য ব্যবহার করা যাবে না। কাউকে কটাক্ষ করা যাবে না। কারো প্রতি আক্রমনাত্বক বক্তব্য পেশ করা যাবে না।