হজের খুতবায় মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ এবং বিশেষভাবে ফিলিস্তিনিদের নিরাপত্তাসহ সার্বিক কল্যাণের জন্য দোয়া করেছেন মসজিদুল হারামের ইমাম শায়খ ড. সালেহ বিন হুমাইদ।
খুতবার শেষ দিকে দোয়ায় তিনি বলেন, হে আল্লাহ আপনি পূর্ব ও পশ্চিমের মুসলমানদের অবস্থা সংশোধন করে দিন। তাদের মধ্যে ভালোবাসা বাড়িয়ে দিন, তাদের সম্পর্ককে আরও মজবুত করে দিন। হে আল্লাহ আপনি ফিলিস্তিন ভাইবোনদের হেফাজত করুন। ক্ষুধার্তদের খাবার দিন এবং আশ্রয়হীনদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করুন। আপনার এবং তাদের শত্রুদের আক্রমণ থেকে রক্ষা করুন এবং তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করুন।
হজের খুতবায় মসজিদুল হারামের ইমাম শায়খ ড. সালেহ বিন হুমাইদ বলেন, ঈমানদারদের উচিত আল্লাহকে ভয় করা এবং তাকওয়া অবলম্বন করা। তাকওয়া ঈমানদারের বৈশিষ্ট্য। তিনি বলেন, শয়তান মুসলমানদের প্রকাশ্য শত্রু। মুসলমানদের উচিত পরস্পরের মধ্যে ঐক্য ও সংহতি বজায় রাখা।
শায়খ সালেহ বিন হুমাইদ বলেন, আল্লাহ তায়ালা ইসলামকে মানবজাতির জন্য দ্বীন হিসেবে পছন্দ করেছেন। যদি তুমি তোমার শত্রুকে ক্ষমা করো, তাহলে আল্লাহ তোমাকে তাঁর বন্ধু বানিয়ে নেবেন।
হজের প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ ফরজ আরাফায় অবস্থান পালনের জন্য আজ বৃহস্পতিবার (৮ জিলহজ, ৫ জুন) ভোর থেকে আরাফায় পৌঁছাতে শুরু করেন হাজিরা। এখানে পৌঁছে আল্লাহর কাছে দোয়া ও ইবাদতে সময় অতিবাহিত করছেন তারা।
সৌদি কর্তৃপক্ষ হাজিদেরকে দিনের সবচেয়ে উত্তপ্ত সময়ে (সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা) বাইরে না থাকার অনুরোধ জানিয়েছে।
১০ জিলহজ তারিখে ওকুফে মুজদালিফা শেষে তারা শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন। এরপর তারা বড় শয়তানকে সাতটি কঙ্কর নিক্ষেপ করবেন এবং কোরবানি করবেন। এরপর মাথা মুণ্ডিয়ে বা চুল ছেঁটে ইহরাম খোলার মাধ্যমে ইহরামমুক্ত হবেন।
আশিক/মি
শর্ত সমূহ:
অশালিন শব্দ/বাক্য ব্যবহার করা যাবে না। কাউকে কটাক্ষ করা যাবে না। কারো প্রতি আক্রমনাত্বক বক্তব্য পেশ করা যাবে না।