সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বা তার পরিবারের সদস্য বা তার সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নামে থাকা সশস্ত্র বাহিনীর আটটি সংস্থা, প্রতিষ্ঠান এবং স্থাপনার নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।
এর মধ্যে নৌবাহিনীর তিনটি, বিমানবাহিনীর তিনটি, সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজের একটি এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
রোববার এ বিষয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপন জারি করে।
অন্তর্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, যিনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী দায়িত্বে রয়েছেন তিনি এই নামগুলো বাতিল করে প্রস্তাবিত নতুন নাম অনুমোদন করেছেন বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
ওই আট সংস্থা, প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনার নতুন নামের তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে। সেগুলো হলো:
১. চট্টগ্রাম নিউ মুরিংয়ে বানৌজা বঙ্গবন্ধুর নাম হয়েছে বানৌজা খালিদ বিন ওয়ালিদ
২. ঢাকার খিলক্ষেত নামাপাড়ায় বানৌজা শেখ মুজিবের নাম হয়েছে বানৌজা ঢাকা
৩. কক্সবাজারের পেকুয়ায় বানৌজা শেখ হাসিনার নাম হয়েছে বানৌজা পেকুয়া
৪. কুর্মিটোলায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ঘাঁটি বঙ্গবন্ধুর নাম হয়েছে ঘাঁটি বীর উত্তম একে খন্দকার
৫. কুর্মিটোলায় বিমানবাহিনীর বঙ্গবন্ধু অ্যারোনটিক্যাল সেন্টারের নাম হয়েছে বাংলাদেশ অ্যারোনটিক্যাল সেন্টার
৬. যশোরে বিএএফ একাডেমিতে বিএএফএ বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্সের নাম হয়েছে বিএএফএ কমপ্লেক্স।
৭. ঢাকার মিরপুর সেনানিবাসে সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজের শেখ হাসিনা কমপ্লেক্সের নাম হয়েছে ডিএসসিএসসি কমপ্লেক্স
৮. ঢাকার শের-ই-বাংলা নগরে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের গণভবন কমপ্লেক্সে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের নাম হয়েছে প্রতিরক্ষা জাদুঘর।
এছাড়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্য বা তার সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নামে থাকা ১৬টি সংস্থা, প্রতিষ্ঠান এবং স্থাপনার নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
এর মধ্যে কয়েকটি সেনানিবাস, ভবন ও সেনা ইউনিটও রয়েছে। এগুলোর নাম বদলে নতুন নামকরণের প্রস্তাবনা করা হয়েছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এমন একটি প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
** টাঙ্গাইলের ভুঞাপুরে বঙ্গবন্ধু সেনানিবাসের নাম পরিবর্তন করে যমুনা সেনানিবাস রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।
** কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ সেনানিবাসের নাম পরিবর্তন করে মিঠামইন সেনানিবাস রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।
**বরিশালের লেবুখালির শেখ হাসিনা সেনানিবাসের নাম পরিবর্তন করে বরিশাল সেনানিবাস রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।
** শরীয়তপুরের জাজিরার শেখ রাসেল সেনানিবাসের নাম পরিবর্তন করে পদ্মা সেনানিবাস রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।
** ভাটিয়ারির বিএমএ-তে বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্সের (ভাস্কর্যসহ) নাম পরিবর্তন করে বিএমএ একাডেমিক কমপ্লেক্স রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।
** হালিশহরের এসিএন্ডএস-এর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্যাটারী কমপ্লেক্সের (কমপ্লেক্স-১ এবং কমপ্লেক্স-২) নাম পরিবর্তন করে আর্টিলারি সেন্টার এন্ড স্কুল রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।
** কক্সবাজারের রামু সেনানিবাসে মুজিব রেজিমেন্ট আর্টিলারির নাম পরিবর্তন করে ১ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।
** ঢাকার বিজয় সারণীতে এডহক বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরের নাম পরিবর্তন করে বাংলাদেশ সামরিক জাদুঘর রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।
** শরীয়তপুরের জাজিরায় চরজানাজাতে বঙ্গবন্ধু কম্পোজিট মিলিটারি ফার্মের নাম পরিবর্তন করে কম্পোজিট মিলিটারি ফার্ম, জাজিরা রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।
** ঢাকা সেনানিবাসের বঙ্গবন্ধু জাদুঘরের নাম পরিবর্তন করে স্বাধীনতা জাদুঘর রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।
** টাঙ্গাইলের ভুঞাপুরে বঙ্গবন্ধু ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের নাম পরিবর্তন করে যমুনা ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।
** নারায়ণগঞ্জ জলসিঁড়িতে শেখ রাসেল ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, জলসিঁড়ির নাম পরিবর্তন করে আদমজী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, জলসিঁড়ি রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।
** শরীয়তপুরের জাজিরায় শেখ রাসেল ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, জাজিরার নাম পরিবর্তন করে পদ্মা ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।
** বরিশালের লেবুখালিতে শেখ হাসিনা ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের নাম পরিবর্তন করে বরিশাল ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।
** চট্টগ্রাম সেনানিবাসের ইবিআরসিতে শেখ কামাল কমপ্লেক্সের (ভাস্কর্যসহ) নাম পরিবর্তন করে ইবিআরসি একাডেমিক কমপ্লেক্স রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।
** হালিশহরের এসিএন্ডএস-এ মুজিব ব্যাটারী সড়কের নাম পরিবর্তন করে গোলন্দাজ সড়ক রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।
আ/মি
শর্ত সমূহ:
অশালিন শব্দ/বাক্য ব্যবহার করা যাবে না। কাউকে কটাক্ষ করা যাবে না। কারো প্রতি আক্রমনাত্বক বক্তব্য পেশ করা যাবে না।