গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রা ঘিরে ভয়াবহ সংঘর্ষে অন্তত ৪ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। তবে আহতদের সঠিক সংখ্যা এখনো নিশ্চিত নয় বলে জানিয়েছে বিবিসি বাংলা।
বুধবার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে মরদেহগুলো আনা হয়। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জীবিতেশ বিশ্বাস জানান নিহতদের শরীরে সহিংস হামলার আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ঘটনার পর পুরো শহরে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জে ২২ ঘণ্টার কারফিউ জারি করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। কারফিউ কার্যকর থাকবে রাত ৮টা থেকে পরদিন বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
এর আগে বিকেলে জেলা সদরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। অভিযোগ ওঠে এনসিপির সমাবেশ শেষে ফেরার পথে তাদের গাড়িবহরে হামলা চালায় নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
সংঘর্ষের মুখে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা আশ্রয় নেন পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে। পরে সেনাবাহিনীর ট্যাঙ্কে করে তাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়।
ঘটনার প্রতিবাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দেশজুড়ে ব্লকেড কর্মসূচি পালন করছে।
আশিক/মি
শর্ত সমূহ:
অশালিন শব্দ/বাক্য ব্যবহার করা যাবে না। কাউকে কটাক্ষ করা যাবে না। কারো প্রতি আক্রমনাত্বক বক্তব্য পেশ করা যাবে না।