শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ English
English
সর্বশেষ

আইন সংস্কারে বিপ্লবী এক বছর পার করল মন্ত্রণালয়

আইন সংস্কারে বিপ্লবী এক বছর পার করল মন্ত্রণালয়
আইন সংস্কারে বিপ্লবী এক বছর পার করল মন্ত্রণালয়
সর্বশেষ উপলব্ধ: জুলাই ৩১, ২০২৫ ০৬:০৪ অপরাহ্ন

২০২৪ সালের ৮ আগস্ট গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় গেল এক বছরে নানা ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সংস্কার ও অগ্রগতি অর্জন করেছে।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে গৃহীত এই কর্মসূচির আওতায় আইনি কাঠামো, প্রতিষ্ঠানিক সংস্কার, হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার এবং দৈনন্দিন কার্যক্রমে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে।

আইনি সংস্কারে গৃহীত উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপগুলোর মধ্যে রয়েছে:

·         আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন সংশোধন, যাতে গুমকে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।

·         সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি নিয়োগে জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন, যা যোগ্যতা ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে নিয়োগ নিশ্চিত করে।

·         দেওয়ানি ও ফৌজদারি আইন সংশোধন, যার মাধ্যমে সাক্ষ্যগ্রহণ, রিমান্ড, গ্রেফতারসহ প্রক্রিয়াগুলো আরও মানবিক ও জবাবদিহিমূলক হয়েছে।

·         নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে সময়সীমা ও সাক্ষী সুরক্ষা, এবং শিশু নিপীড়ন সংক্রান্ত বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন।

·         সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ প্রণয়ন, যেখানে আগের নিপীড়নমূলক ধারা বাতিল এবং মামলা প্রত্যাহারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

·         বিবাহ নিবন্ধনে অনলাইন ও জেন্ডার সমতা নিশ্চিত করা এবং পাওয়ার অব অ্যাটর্নিতে বিদেশি বাংলাদেশিদের অন্তর্ভুক্তি।

প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার ও ডিজিটালাইজেশন অংশে:

·         বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, জুডিশিয়াল সার্ভিস গঠন বিধিমালা এবং তথ্য ও সেবা কেন্দ্র স্থাপন।

·         সুপ্রিম কোর্ট থেকে Practice Direction জারি যার ফলে ডাক্তার-ম্যাজিস্ট্রেটদের সাক্ষ্য এখন অনলাইনেই গ্রহণযোগ্য।

·         অনলাইন বেইলবন্ড ও শতভাগ অনলাইন Attestation সার্ভিস চালু।

·         ঢাকা ও চট্টগ্রামে ই-ফ্যামিলি কোর্ট পাইলট প্রকল্প চালু।

হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারে:

১৫,০০০-র বেশি রাজনৈতিক মামলা, ৪০৮টি স্পিচ অফেন্স এবং ৭৫২টি গণঅভ্যুত্থান সংশ্লিষ্ট মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এতে লাখ লাখ মানুষ হয়রানি থেকে মুক্তি পেয়েছেন।

দৈনন্দিন কার্যক্রমেও রেকর্ড অর্জন হয়েছে:

·         মন্ত্রীর মাধ্যমে নিষ্পত্তিকৃত ফাইলের সংখ্যা আগের তুলনায় ৫০% বেশি।

·         ৩৯১টি আইনি মতামত, ১.৬ লাখের বেশি ডকুমেন্ট সত্যায়ন এবং ১২টি অংশীজন সভা আয়োজিত হয়েছে।

·         ৪৮৮৯ জন সরকারী আইন কর্মকর্তা এবং ২৭৪ জন অ্যাটর্নি নিয়োগ যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

এছাড়া প্রধান বিচারপতিসহ সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন স্তরে নতুন বিচারপতি নিয়োগ এবং বিধিমালা ও প্রবিধান কোডিফিকেশনের কাজ শুরু হয়েছে যা দেশের আইনি ইতিহাসে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ।

আশিক/মি

 59
মতামত দিন

শর্ত সমূহ:
অশালিন শব্দ/বাক্য ব্যবহার করা যাবে না। কাউকে কটাক্ষ করা যাবে না। কারো প্রতি আক্রমনাত্বক বক্তব্য পেশ করা যাবে না।