কোভিড মহামারির পর ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম শুধু মাইক্রোফিন্যান্সকে টিকিয়েই রাখেনি বরং তা আরও ছড়িয়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ও বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বারনামাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন মহামারির সময় সরাসরি বৈঠক ও কিস্তি পরিশোধ অসম্ভব হয়ে পড়েছিল তাই ঋণগ্রহীতারা ফোন ও ডিজিটাল ট্রান্সফারের মাধ্যমে কিস্তি দিতে শুরু করেন। সাপ্তাহিক বৈঠকগুলোও জুম প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয়। এ পরিবর্তন এতটাই সফল হয়েছিল যে মহামারির পরও অনেকেই পুরোপুরি শারীরিক বৈঠকে ফিরে যাননি।
ইউনূস জানান নরওয়েতে থাকা গ্রামীণ ব্যাংকের একজন কর্মীও অনলাইনের মাধ্যমে নির্বিঘ্নে ঋণ সংগ্রহ করেছেন যা তার কাছে বিস্ময়কর মনে হয়েছে। তিনি বলেন এই পরিবর্তন পরিকল্পিত ছিল না বরং প্রকৃতির চাপেই এসেছে এবং এখন বিশ্বের অনেক ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি এটি গ্রহণ করছে।
১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক জামানতবিহীন ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে দরিদ্র বিশেষ করে নারীদের ক্ষমতায়নের পথ দেখিয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে ৯ মিলিয়নেরও বেশি ঋণগ্রহীতা এ সেবা নিচ্ছেন। মালয়েশিয়াই ছিল প্রথম দেশগুলোর একটি যারা গ্রামীণ মডেল অনুসরণ করে ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি চালু করেছিল।
আশিক/মি
শর্ত সমূহ:
অশালিন শব্দ/বাক্য ব্যবহার করা যাবে না। কাউকে কটাক্ষ করা যাবে না। কারো প্রতি আক্রমনাত্বক বক্তব্য পেশ করা যাবে না।