শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ English
English
সর্বশেষ

তরুণদের মধ্যে তামাক সচেতনতা না থাকলে ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত

তরুণদের মধ্যে তামাক সচেতনতা না থাকলে ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত
তরুণদের মধ্যে তামাক সচেতনতা না থাকলে ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত
সর্বশেষ উপলব্ধ: আগস্ট ২০, ২০২৫ ০১:২৫ অপরাহ্ন

অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ এবং আন্তঃমন্ত্রণালয় সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আজ যৌথ ঘোষণাপত্র স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন সুস্থ ও কর্মক্ষম মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হলে জাতীয় এবং ব্যক্তিগত জীবনে স্বাস্থ্যবান্ধব উদ্যোগ অপরিহার্য। অসংক্রামক রোগের ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি শুধু স্বাস্থ্যখাত নয় দেশের অর্থনীতি, সামাজিক নিরাপত্তা এবং টেকসই উন্নয়নের ওপরও প্রভাব ফেলছে।

প্রধান উপদেষ্টা উল্লেখ করেন উচ্চ চিকিৎসা ব্যয় সাধারণ মানুষকে অসহায় করে তোলে অনেক ক্ষেত্রেই বিদেশে ব্যয়বহুল চিকিৎসা নিতে হয়। তাই চিকিৎসার পাশাপাশি প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা ও জনসচেতনতা জরুরি। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের একার পক্ষে এটি সম্ভব নয়এজন্য খাদ্য, কৃষি, শিক্ষা, ক্রীড়া, স্থানীয় সরকারসহ সব মন্ত্রণালয়কে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। তিনি বিশেষভাবে সতর্ক করেন তরুণদের মধ্যে তামাকের ব্যবহার রোধে যথাযথ সচেতনতা না থাকলে ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে যাবে। এছাড়া চিনির অতিরিক্ত ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, শিশু ও কিশোর স্বাস্থ্য অগ্রাধিকার এবং যুব সমাজকে সচেতন কার্যক্রমে যুক্ত করার গুরুত্বও তুলে ধরেন।

তিনি তিনটি মূল বিষয় নির্দেশ করেন


১) জনসচেতনতা ও স্বাস্থ্যবান্ধব নীতি: জনগণকে দায়িত্বশীল নাগরিক আচরণে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

২) পাবলিক-প্রাইভেট অংশীদারিত্ব: যৌথ ঘোষণার বাস্তবায়নে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রয়োজন।

৩) মনিটরিং ও বরাদ্দ: কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে নিবিড় মনিটরিং, দক্ষ জনবল ও আর্থিক সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি আশা প্রকাশ করেন যৌথ ঘোষণাপত্রের বাস্তবায়ন বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করবে এবং জাতীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় নতুন মাইলফলক স্থাপন করবে।

আশিক/মি

 42
মতামত দিন

শর্ত সমূহ:
অশালিন শব্দ/বাক্য ব্যবহার করা যাবে না। কাউকে কটাক্ষ করা যাবে না। কারো প্রতি আক্রমনাত্বক বক্তব্য পেশ করা যাবে না।