গাজায় দুই বছরের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসান ঘটাতে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হয়েছে হামাস ও ইসরায়েল। এই ঘোষণার পরপরই খান ইউনিসসহ বিভিন্ন এলাকায় আনন্দে মেতে ওঠেন ফিলিস্তিনিরা। নাচগান আর উল্লাসে ভরে ওঠে রাস্তাঘাট ও জনসমাগমস্থল। রয়টার্সের প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায় অনেকেই স্পিকারে গান বাজিয়ে উদযাপন করছেন এই শান্তির খবর।
তবে এখনো গাজার কিছু এলাকায় বিমান হামলা চলছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সাংবাদিকরা। গাজা সিটির বাসিন্দা মোহাম্মদ আল জারু জানান বুধবারও তিনি যুদ্ধবিমান উড়তে দেখেছেন। তবুও সাধারণ মানুষ যুদ্ধবিরতির এই ঘোষণাকে আশার প্রতীক হিসেবে দেখছেন। স্থানীয় বাসিন্দা খালেদ শাআত একে ঐতিহাসিক মুহূর্ত হিসেবে বর্ণনা করে বলেন দুই বছরের হত্যাযজ্ঞের পর এটি ছিল দীর্ঘ প্রতীক্ষিত শান্তির শুরু। অন্যদিকে ওয়েল রাদওয়ান এই উদ্যোগের কৃতিত্ব দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৬৭ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘ জানিয়েছে প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। যুদ্ধবিরতির পর গাজা ও ইসরায়েলে উভয় পক্ষের পরিবারগুলো এখন মুক্তির আশায় দিন গুনছে।
আশিক/মি
শর্ত সমূহ:
অশালিন শব্দ/বাক্য ব্যবহার করা যাবে না। কাউকে কটাক্ষ করা যাবে না। কারো প্রতি আক্রমনাত্বক বক্তব্য পেশ করা যাবে না।