শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ English
English
সর্বশেষ

বিচার বিভাগের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ সুপ্রিম কোর্টের

বিচার বিভাগের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ সুপ্রিম কোর্টের
বিচার বিভাগের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ সুপ্রিম কোর্টের
সর্বশেষ উপলব্ধ: সেপ্টেম্বর ০২, ২০২৫ ০৫:৫৮ অপরাহ্ন

অধস্তন আদালতে দায়িত্বপালনরত বিচারকদের নিয়ন্ত্রণ (কর্মস্থল নির্ধারণ, পদোন্নতি, ছুটি মঞ্জুরি) শৃঙ্খলা বিধানের দায়িত্ব পুরোপুরি সুপ্রিম কোর্টের হাতে ফিরে এসেছে। বিচারকদের নিয়ন্ত্রণ শৃঙ্খলা বিধান সম্বলিত সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের সংশোধনী অবৈধ সংবিধান পরিপন্থী ঘোষণা করে এবং বাহাত্তরের সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ বহাল রেখে এমন রায় ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার ( সেপ্টেম্বর) বিচারপতি আহমেদ সোহেল বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃপক্ষের পাঠানো প্রস্তাবনা অনুসারে তিন মাসের মধ্যে একটি পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি রায়ে বিচারকদের জন্য ২০১৭ সালে তৈরি করা শৃঙ্খলাবিধি সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হয়েছে। রায়ের ফলে এখন থেকে বিচারকদের নিয়ন্ত্রণ, বদলি শৃঙ্খলা বিধানের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম কোর্টকে আর ধারস্ত হতে হবে না।

আদালতে সংক্রান্ত রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। অ্যামিকাস কিউরি (আদালতের আইনি সহায়তাকারী) হিসেবে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া। ইন্টারভেনার (ব্যাখ্যাকারী) হিসেবে শুনানি করেন আইনজীবী আহসানুল করিম।

আইনজীবী শিশির মনির পরে বলেন, রায়ের ফলে বিচারকদের নিয়ন্ত্রণ (কর্মস্থল নির্ধারণ, পদোন্নতি, ছুটি মঞ্জুরি) শৃঙ্খলা বিধানের দায়িত্ব পুরোপুরি সুপ্রিম কোর্টের হাতে ফিরে এসেছে। এখন থেকে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের নামে বিচারকদের বদলি শৃঙ্খলা বিধানের ক্ষেত্রে আইন মন্ত্রণালয়ের হাতে আর কোনো নাটাই থাকল না। নির্ভয়ে তারা রায় দিতে পারবেন। রায় দেয়ার পর নির্বাহী কর্তৃপক্ষের রোষানলে পড়ে রাতের আঁধারে বিচারকদের বদলির আর কোনো ভয় থাকল না। এটি একটি ঐতিহাসিক রায়।

আশিক/মি

 22
মতামত দিন

শর্ত সমূহ:
অশালিন শব্দ/বাক্য ব্যবহার করা যাবে না। কাউকে কটাক্ষ করা যাবে না। কারো প্রতি আক্রমনাত্বক বক্তব্য পেশ করা যাবে না।